শুরুতেই বলে নেয়া ভালো, ঠিক ‘ছিপখান তিন দাঁড়’ কিংবা ‘আগডুম বাগডুম’ টাইপ ছড়া লেখেন না তিনি। শিশুতোষ তো নয়, তার ছড়া রীতিমতো প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী। বিষয়ে, ভাষায় এবং বলার ভঙ্গিতে ছড়ার ছন্দে যাত্রা শুরু করলেও নুপুরের ছড়াগুলো শেষতক কাব্যিক ওজন পায়। একটা ছড়া পড়া যাক-
‘আমাদের সিগারেটে
ধোঁয়া ওঠা মন
তরল আনন্দে সব
ঘোলাটে জীবন।’
মনোযোগী পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, এত সিগারেট কেন নূপুরের ছড়ায়? সিগারেট নয়, পুড়ছে ঠোঁট এমন পঙক্তি থেকে ধারণা করা যায়, সিগারেট স্রফে নেশাদ্রব্য নয়, এর অন্য কোনো প্রতীকী অনুষঙ্গ আছে। হয়তো কখনো সে নিজেই সিগারেট। কেননা, নূপুর লেখেন
তবে ধূমপায়ীদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। সংবিধিবদ্ধ ধারণা হিসেবেই জানানো যায়, নূপুর আদতে ধূমপানের ক্ষতি সম্পর্কে জানেন এবং পছন্দও করেন না। কিন্তু ধরে নেয়া যায়, তার প্রেমিকটি ধূমপানে আসক্ত, কিন্তু নূপুর চায়
ধূমপানের চেয়ে বড় চুম্বনেই তার আগ্রহ বেশি। প্রকৃতিগত কারণেই এই বইটার নাম হতে পারো চুম্বনের ছড়া। বাংলা ছড়া সাহিত্যে আস্ত একটা চুম্বনের বইয়েরও বোধ হয় দরকার ছিল।
‘আধা চাঁদ বাঁধা আছে তোর কাছে
বাকি আধা আমাতে
আয় না মেলাই চাঁদ
ঠোঁটে ঠোঁট ভাঁজেতে’
চুমু খাওয়ার ব্যাপারে এক অর্থে নূপুর খুব একরোখা। সে চুমুতে আসক্ত কিন্তু, সেখানেও শর্ত আছে বৈকি! কারণ প্রেম আর চুম্বনের সঙ্গে তো ঈর্ষার লালাও জড়িয়ে থাকে-
‘স্বর্গে কি চুমু আছে?
আমার জন্য একজোড়া ঠোঁট?
আগে থেকে বলে রাখছি কিন্তু
সত্তরজন হুর পরীর ছুঁয়ে দেয়া
ঠোঁটে আমার প্রবল আপত্তি।’
ছন্দের দোলায় নূপুর দত্ত তার এই ছোট্ট ছড়ার বইতে পাঠকের জন্য প্রেম, মিলন, চুম্বন, বিরহ এমনকি ঈর্ষারও ছাপ রেখে যান।
শুরুতেই বলে নেয়া ভালো, ঠিক ‘ছিপখান তিন দাঁড়’ কিংবা ‘আগডুম বাগডুম’ টাইপ ছড়া লেখেন না তিনি। শিশুতোষ তো নয়, তার ছড়া রীতিমতো প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী।
By নূপুর দত্ত
Category: ছড়া
শুরুতেই বলে নেয়া ভালো, ঠিক ‘ছিপখান তিন দাঁড়’ কিংবা ‘আগডুম বাগডুম’ টাইপ ছড়া লেখেন না তিনি। শিশুতোষ তো নয়, তার ছড়া রীতিমতো প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী। বিষয়ে, ভাষায় এবং বলার ভঙ্গিতে ছড়ার ছন্দে যাত্রা শুরু করলেও নুপুরের ছড়াগুলো শেষতক কাব্যিক ওজন পায়। একটা ছড়া পড়া যাক-
‘আমাদের সিগারেটে
ধোঁয়া ওঠা মন
তরল আনন্দে সব
ঘোলাটে জীবন।’
মনোযোগী পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, এত সিগারেট কেন নূপুরের ছড়ায়? সিগারেট নয়, পুড়ছে ঠোঁট এমন পঙক্তি থেকে ধারণা করা যায়, সিগারেট স্রফে নেশাদ্রব্য নয়, এর অন্য কোনো প্রতীকী অনুষঙ্গ আছে। হয়তো কখনো সে নিজেই সিগারেট। কেননা, নূপুর লেখেন
তবে ধূমপায়ীদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। সংবিধিবদ্ধ ধারণা হিসেবেই জানানো যায়, নূপুর আদতে ধূমপানের ক্ষতি সম্পর্কে জানেন এবং পছন্দও করেন না। কিন্তু ধরে নেয়া যায়, তার প্রেমিকটি ধূমপানে আসক্ত, কিন্তু নূপুর চায়
ধূমপানের চেয়ে বড় চুম্বনেই তার আগ্রহ বেশি। প্রকৃতিগত কারণেই এই বইটার নাম হতে পারো চুম্বনের ছড়া। বাংলা ছড়া সাহিত্যে আস্ত একটা চুম্বনের বইয়েরও বোধ হয় দরকার ছিল।
‘আধা চাঁদ বাঁধা আছে তোর কাছে
বাকি আধা আমাতে
আয় না মেলাই চাঁদ
ঠোঁটে ঠোঁট ভাঁজেতে’
চুমু খাওয়ার ব্যাপারে এক অর্থে নূপুর খুব একরোখা। সে চুমুতে আসক্ত কিন্তু, সেখানেও শর্ত আছে বৈকি! কারণ প্রেম আর চুম্বনের সঙ্গে তো ঈর্ষার লালাও জড়িয়ে থাকে-
‘স্বর্গে কি চুমু আছে?
আমার জন্য একজোড়া ঠোঁট?
আগে থেকে বলে রাখছি কিন্তু
সত্তরজন হুর পরীর ছুঁয়ে দেয়া
ঠোঁটে আমার প্রবল আপত্তি।’
ছন্দের দোলায় নূপুর দত্ত তার এই ছোট্ট ছড়ার বইতে পাঠকের জন্য প্রেম, মিলন, চুম্বন, বিরহ এমনকি ঈর্ষারও ছাপ রেখে যান।